মাঠে ফুটবল-ক্রিকেট- কাবাডি খেলার কথা,এখন এই মাঠে খেলেছেন বালু টানা ট্রাকটর

মোঃ আখতার রহমান, রাজশাহীঃ রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় একটি প্রাচীনতম বিদ্যালয় কালিদাসখালী উচ্চ বিদ্যালয়। পদ্মার কোল ঘেষে বিদ্যালয়ের দক্ষিনে খেলার যে মাঠটি রয়েছে,সেটি কয়েকটি গ্রামের খেলার বড় মাঠ বলে পরিচিত। উত্তর বঙ্গের প্রাচীন বিদ্যাপিঠ রাজশাহীর বাঘা উপজেলার কালিদাশখালি উচ্চ বিদ্যালয়ের এই মাঠে খেলেছেন জাতীয় ফুটবল দলের নামকরা খেলোয়ার। অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে ফুটবল-ক্রিকেট-কাবাডিসহ বিভিন্ন খেলাধূলা। কিন্তু মাঠটি এখন বালি ব্যবসায়ীর দখলে। এলাকার শরীফসহ এক জনপ্রতিনিধি, খেলার মাঠের জায়গা দখল করে বালি ফেলে নির্বিগ্নে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে খেলাধূলার পুরনো ঐতিহ্য হারাচ্ছে মাঠটি। সরেজমিনে দেখা যায়,মাঠের পূর্ব-দক্ষিন ও পশ্চিমে বালির স্তুপ। আরও অনেক কিছুই রাখা হয়েছে মাঠটি দখল করে। অন্যপাশে জমে আছে পানি। মাঠ দিয়ে বালিবাহি ট্রাক্টর চলাচল করায়, মাটি দেবে এখানে-ওখানে ছোট-বড় গর্ত অনেক, সেসব গর্তেও জমে আছে পানি আর কাদা। যে মাঠে চুন-সুড়কির দাগ দিয়ে ফুটবল-ক্রিকেট- কাবাডি খেলার কথা,এখন এই মাঠে দাগ দিয়ে যাচ্ছে বালু টানা ট্রাকটর! দেখলেই মনে হয়, বৃষ্টি হওয়ার পর কঠিন মাটি চাষ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা জানান,মাস তিনেক আগে মাঠের তিনদিকে বালি ফেলা হয়েছে। বিভিন্নস্থানে এসব বালি সরবরাহের জন্য মাঠে উঠা-নামা করে বালি বাহি ট্রাক্টর। একদিকে শ্রাবনের বৃষ্টি অন্যদিকে বালি ভর্তি ট্রাক মাঠ দিয়ে উঠা-নামা করায়, কাদায় পরিনত হয়েছে। যার ফলে খেলা ধূলা তো দুরের কথা পায়ে হেটে চলাচলও সম্ভব হচ্ছেনা। আন্তঃ স্কুললীগ খেলা শুরুর আগে মাঠটি সংষ্কারের দাবি জানালেও তাদের দাবি আমলে নেয়নি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দুরবস্থার কথা স্বীকার করে প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ প্রামানিক বলেন, মাঠটি পাশের বাড়ি সংলগ্ন হওয়ায় প্রতিবেশী বালি ব্যবসায়ীকে অনুরোধ করেছেন। কিন্তু শোনেনি। অবশেষে এবড়োথেবড়ো জায়গায় বালি দিয়ে আন্তঃ স্কুললীগ খেলা চালাচ্ছেন। বালি ব্যবসায়ী শরীফ বলেন, নিজের জায়গায় বালি ফেলছি। সেই বালি মাঠে গড়ে গিয়েছে। মাঠে আর গাড়ি নামাবোনা। খুব শিগগির বালি উঠিয়ে নিবো। উপজেলা নির্বাহি অফিসার শাহিন রেজা বলেন,বিষয়টি জানার পর মাঠ থেকে বালি সরিয়ে নিতে বলেছেন। আর মাঠে গাড়ি নামাতেও নিষেধ করা হয়েছে। ২/১ দিনের মধ্যে সরিয়ে না নিলে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান নির্বাহি অফিসার।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment